{getBlock} $results={3} $label={রাজনীতি} $type={headermagazine}

ছিলেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আগুনে পুড়ল দরিদ্র দুই ভাইয়ের বসতঘর

প্রকাশঃ
অ+ অ-

বসতঘরের ভেতরে-বাইরে চারদিকেই বন্যার পানি। বাধ্য হয়ে দুই ভাই, মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে। এরই মধ্যে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে বসতঘরে। পুরো ঘরটি অল্প সময়ের মধ্যেই পুড়ে যায়। গভীর রাতের ঘটনা হওয়ায় আশপাশের কেউই এগিয়ে আসতে সাহস পাননি। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন—এ নিয়ে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন নোয়াখালী সদর উপজেলার এওবালিয়া ইউনিয়নের চাড়ুবানু গ্রামের দুই ভাই মনিরুজ্জামান ও মনির হোসেন। উপায় না পেয়ে মসজিদে মসজিদে গিয়ে হাত পাতছেন মুসল্লিদের কাছে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় জেলা শহর মাইজদীর ফ্ল্যাট রোডের মসজিদে ফটকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বসতঘরের কয়েকটি ছবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন এক যুবক। ছবি দেখিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন তিনি। পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাইলে মনিরুজ্জামান বলেন, তিনি ও তাঁর আরেক ভাই মনির হোসেন বৃদ্ধা মা ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে একই ঘরে থাকতেন। গত মাসের ভয়াবহ বন্যার পানিতে ডুবে যায় তাঁদের বাড়ি। পানি ঢোকে বসতঘরেও। প্রায় হাঁটুসমান পানি। বাধ্য হয়ে ২৫ আগস্ট গিয়ে ওঠেন পাশের গ্রামের মমিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।

মনিরুজ্জামান জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার সময় ঘর থেকে সামান্য কাপড়চোপড় ছাড়া আর কিছুই নিয়ে যাননি। সবই ঘরে রেখে গেছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরের দিন (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাত আনুমানিক ১টা ৪০ মিনিটে বাড়িতে বসতঘরে বিদ্যুতের লাইন থেকে আগুন ধরে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে তাঁরা ছুটে আসেন। বিদ্যুতের আগুন হওয়ায় কেউ নেভানোর সাহস পাননি। আগুনের হাত থেকে কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। ঘরে থাকা দুই ভাইয়ের পরিবারের ব্যবহৃত আসবাব, কাপড়চোপড়—সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন