পুতিন-কিম জং উনের দাপট বাড়ানোর পেছনে কে
প্রকাশঃ

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি পিয়ংইয়ং সফর করে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর পরপরই উন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছেন। এতে ওয়াশিংটনে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এটি আমেরিকার মিত্রদের বিচলিত করেছে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার হুমকি দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার কারণে এবারই যে প্রথম এ ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নয়। বর্তমানে যে আশঙ্কার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য একজন ব্যক্তির বিতর্কিত কাজকে দায়ী করা যেতে পারে। তিনি হলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপণ

ট্রাম্প যখন ক্ষমতায়, তখন তাঁর কূটনৈতিক প্রচেষ্টাগুলোকে খামখেয়ালি ও বিপজ্জনক হিসেবে দেখা হতো। বিশেষ করে, যখন ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম ২০১৭ সালে পাল্টাপাল্টি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিচ্ছিলেন, তখন উত্তেজনা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। নতুন শতাব্দীর কোনো নির্বাচনেই আগের শতাব্দীর শেষ দশকের ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ আসেনি। ফলে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা পুরো রাষ্ট্রীয় কাঠামোকেই দোদুল্যমান করেছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানকে ব্যবহার করে তিনটি ‘ভুয়া’ ও ‘জালিয়াতির’ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতাকে নিজেদের সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল। এই যে স্বৈরাচার তৈরির কাঠামো, তার ‘বিষদাঁত’ আমরা দেখে ফেলেছি। এই বিষদাঁত উপড়ে ফেলতেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত জরুরি। সে লক্ষ্যেই প্রয়োজন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার।
[inArticleRelated/2]
২০১৮ ও ২০১৯ সালে ট্রাম্প ও কিম দুটি শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। ওই বৈঠক দুটির পর প্রকৃতপক্ষে দুই দেশের মধ্যে কয়েক দশকের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব সমাধানের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। তবে পরে ট্রাম্পের আবেগপ্রবণতা ওই প্রচেষ্টাগুলোকে বিপথগামী করে ফেলে এবং আবার উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টির সুযোগ তৈরি হয়েছে।
মূলত বিশ্ব মঞ্চে নিজেকে উজ্জ্বল করে তুলে ধরার এবং পূর্বসূরি বারাক ওবামার মতো শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতার একটি সুযোগ পাওয়া যাবে মনে করে ট্রাম্প কিমের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের জন্য চাপ দিয়েছিলেন।
এই টেমপ্লেটটির দাম কেমন(01722472155 WhatsApp)
ReplyDeletePost a Comment